ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের দাবি ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন' প্রণয়ন করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন মুকুট।

সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হলো-

  • কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসন বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থন করা 
  • যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে দেওয়া হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা ও কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে এবং সমাজে নারী শ্রমিকের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা 
  • আদালতের নির্দেশনা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, সে জন্য সরকারি উদ্যোগে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা 
  • যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি করা ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করা 
  • নারীর প্রতি বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তা বলেন, বিদ্যমান আইনের পরেও (যেমন 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন', 'বাংলাদেশ শ্রম আইন' ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও) কেন কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পৃথক আইন প্রয়োজন সে বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট তার রায়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। রায়ে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে কোর্টের এই আদেশ ও নির্দেশনাগুলো জাতীয় সংসদ কর্তৃক এ সংক্রান্ত পর্যাপ্ত ও কার্যকর আইন প্রণিত না হওয়া পর্যন্ত অনুসৃত ও পরিপালিত হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা গেছে একদিকে যেমন হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোনো আইন পাশ হয়নি তেমনি এ বিষয়ে হাইকোর্ট যে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলোও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি।  

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। সরকারি-বেসরকারি চাকরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় এখন নারীরা কর্মরত। পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যায়ও তারা পড়ছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এখনো বৈষম্যের শিকার। উল্লেখযোগ্য সমস্যা হলো যৌন হয়রানি। শারীরিক, মানসিক, মৌখিক, বিভিন্নভাবে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারীর নিরাপত্তার বৈষম্য খুবই প্রকট। দিনে দিনে নারীদের প্রতি যৌন হয়রানির মাত্রা বেড়েই চলেছে এবং বর্তমানে তা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, মনডিয়াল এফএনভি'র কনসালটেন্ট মো. শাহীনুর রহমান ও কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক কাজী গুলশান আরা দিপা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১ 
এইচএমএস/এসআইএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।