ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাউন্সিলরের সঙ্গে খুন হন হরিপদ, ১৫ দিন পর মারা গেলেন মা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
কাউন্সিলরের সঙ্গে খুন হন হরিপদ, ১৫ দিন পর মারা গেলেন মা হরিপদ সাহার মা রেণু বালা

কুমিল্লা: গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা। হরিপদ তার মা রেণু বালার (১০০) একমাত্র ছেলে হওয়ায় মায়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব ছিল তার হাতেই।

ছেলের মৃত্যুর ১৫ দিন পর মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নগরীর সাহাপাড়া নিজ বাড়িতে মারা যান রেণু বালাও।

রেণু বালার মেজ মেয়ে বুলু বালা সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাইডা আমার মাডারে দেখতো। মা যেদিন থাইক্কা (থেকে) টের পাইছে, আমার ভাই হরিপদ আর নাই, হেদিন থাইক্কা ঠিক মতো খানা-দানা (খাবার) নাই। কেউ আমডার (আমাদের) বাইত (বাড়ি) আইলে (এলে) হেরার (তাদের) দিকে চাইয়া থাকতো। চোখ দিয়া ইশারা দিতো। হরিপদ কই। আমার ভাইডার শোকে আমার মাও চইল্লা (চলে) গেল।

প্রতিবেশী দুলাল সাহা বলেন, হরিপদের মায়ের বয়স হয়েছে এটা ঠিক। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ছিলেন। তবে তার ছেলে হরিপদের নিহতের শোকটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি।  
এদিকে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিক্কারচর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় রেণু বালার।

জানা গেছে, রেণু বালার ছয় মেয়ে ও এক ছেলে। নিহত হরিপদ সাহা ছিলেন সবার ছোট। গত পাঁচ মাস আগে হরিপদের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নি:সন্তান হরিপদের সময় কাটতো মায়ের সেবা-যত্ন আর কাউন্সিলর সোহেলের সঙ্গেই।

** কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ ২ জনকে গুলি করে হত্যা
** অফিসে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি, কাউন্সিলরসহ ৯ জন গুলিবিদ্ধ

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।