খুলনা: স্থবির হয়ে পড়েছে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড। কমিটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিবাহিত।
অভিযোগ উঠেছে, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয়। এ কমিটির উদ্যোগে জাতীয় দিবস এবং কেন্দ্র ঘোষিত কোনো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে এই কমিটি নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে মো. পারভেজ হাওলাদার সভাপতি ও মো. ইমরান হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে ৯ টি উপজেলা, ২ টি পৌরসভা, ৪ টি সরকারি কলেজ, ৪৪ টি বেসরকারি কলেজ, ৬৫ টি ইউনিয়ন, একটি সাংগঠনিক ইউনিয়ন ও ২ টি আঞ্চলিক কমিটি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব আসছে না। যে কারণে হতাশা নিয়ে সাংগঠনিক অনেক সাধারণ নেতাকর্মী ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। নেতৃত্বের গুণাবলী থাকার পরেও এতদিন পদ জুটেনি বহু ছাত্র নেতার।
তবে নতুন বছরের (২০২২ সাল) প্রথম দিকে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে এমন আভাসে আশা দেখছেন পদ প্রত্যাশীসহ জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। নতুন কমিটিতে সুযোগ পেলে ছাত্রলীগকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করতে চান তারা। বর্তমান কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক দক্ষতা, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অবদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব অনেকে।
নতুন কমিটিতে পদ পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন জেলা ছাত্রলীগে দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকা এক ঝাঁক নেতাকর্মীরা। শোনা যাচ্ছে, নতুন বছর ২০২২ সালের প্রথম নাগাদ নেতৃত্বে আসতে পারেন নতুন মুখ। ইতোমধ্যে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করছেন অনেকে। এরমধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা, শৃঙ্খলা ও ক্লিন ইমেজের অধিকারীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন বেশ কয়েকজন।
সভাপতি প্রার্থী পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন- খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি বাছাড়, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এএইচএম কামাল ।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে- জেলা ছাত্রলীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর রহমান আকাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত খান, প্রচার সম্পাদক চিশতী নাজমুল বাসার সম্রাট, জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রাসেল, কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম টিংকু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পলাশ রায় এবং সরকারি বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ মো: শাকিল। ,
খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি সরকার জহির রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের ২০১৭ সালে কমিটি হয়েছিল। এরপর আর নতুন কমিটি হয়নি। আমরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষের দিকে কেন্দ্র থেকে খুলনায় গিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেব।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮ , ২০২১
এমআরএম/এনএটি