সাভার (ঢাকা): সাভারে আশুলিয়ায় বেতন পাওয়ার একদিন পরেই ভাড়া বাসার নিজ কক্ষ থেকে এক মারুফা আক্তার (৩২) নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম পাওয়া যায়নি।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর মাধব চন্দ্রের মালিকানাধীন বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারুফা বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মো. মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামী কুয়েত প্রবাসী আল আমিন। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সেই বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে শারমিন নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
নিহতের মামী আসমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, মারুফার স্বামী কুয়েত থাকে। তার চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সে নরশিংহপুর পুরের এই বাসায় ভাড়া থাকে। আর এগারো বছরের মেয়ে থাকে গ্রামে দাদার বাড়িতে। আজ সন্ধ্যায় মারুফা মারা গেছে জানতে পেরে অফিস থেকে ছুটে আসি। তখন মারুফার ছেলের কাছে শুনছি ঘটনা। মারুফার চাচাতো দেবর হাসিব নাকি প্রতিদিন দুপুরে খাবার খেতে আসতো। আজ দুপুরেও সে মারুফার বাসায় এসেছিল। তখন মারুফার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মারফাকে গলা টিপে হত্যা করে বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি আটকে পালিয়ে যায় সে। পরে মারুফার ছেলে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে মারুফাকে নিথর অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। মারুফার বেতন হয়েছে একদিন আগেই তার বেতন মোবাইলে আসে৷ যে মোবাইলে বেতন আসে সেই মোবাইলও নেই সিমও নেই।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, রাতে স্থানীয়দের খবরে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের কক্ষের দরজাও খোলা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তার গলায় দাগ রয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এসআইএস