ঢাকা: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ছেলে, মেয়ে ও স্বামীর পর স্ত্রী শান্তা খানমও মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শান্তা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির কাওসার খানের স্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা খানমের দুই শিশু সন্তান ইয়াছিন খান (৫) ও ফাতেমা নোহরা খানমের (৩) মৃত্যু হয়। পরে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী কাউসার খানের মৃত্যু হয়।
শান্তা খানমের স্বামী কাওসার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
নিহত কাওসার খানের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, চাকরির সুবাদে ১০ বছর ধরে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন কাউসার। কাউসার আবুল খায়ের গ্রুপে রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এজেডএস/এমআরএ