ঢাকা: অর্থ পাচারকারীদের যে তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে জমা দিয়েছে, সে তালিকা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার জহুরুল হক।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, অর্থ পাচারের আভিযোগ অনুসন্ধানে আইনি জটিলতায় দুদক। ২৮টি ধারার ২৭টি দুদকের কাছে নেই। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। দুদক আদালতে যে ৪৩ জনের তালিকায় দিয়েছে, সেই তালিকায় দুদকের আইনের যা করার সুযোগ আছে করা হবে। তালিকা আরও বড় হতে পারে।
মানববন্ধনে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রিতা আছে, ওটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই পরিকল্পনা করা। আমরা বাস্তবভাবে পরিকল্পনা করছি, দুর্নীতি নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা এর কাছাকাছি যাওয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর অর্থ পাচারকারী ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা আদালতে জমা দেন, এর মধ্যে ১৪টি নাম এসেছিল ‘পানামা পেপার্সে’। আর ‘প্যারাডাইস পেপার্সে’ এসেছিল ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের পাশাপাশি বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের নাম রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এসএমএকে/কেএআর