ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত দ. এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
‘সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত দ. এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে’

ঢাকা: আঞ্চলিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাংলাদেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের যেমন একসঙ্গে কাজ করতে হবে, তেমনি দুই বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

দুই দেশের যৌথ নেতৃত্বে বিশ্ব অপার বিস্ময়ে দেখবে এ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্য ও গৌরবকে কীভাবে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘মৈত্রীর বন্ধনে সুবর্ণ সম্প্রীতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) প্রমুখ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। অভিন্ন সীমান্ত, অভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসহ অনেক কিছুতেই আমাদের সম্প্রীতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আবেগ-অনুভূতি ও পারস্পরিক স্বার্থ একই সূত্রে গাঁথা। আমাদের উন্নয়নের সহযোগী অনেক দেশ আছে, কিন্ত ক্রান্তিকালে ভারত সরকার ও ভারতের জনসাধারণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ তা স্মরণ করে।  

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রগতিতে বিশ্বাস করে এবং যারা ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে আমাদের মৌলিক মানবিক সত্তায় বিশ্বাস করে তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বন্ধু রাষ্ট্র ভারত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যাদের সহায়তা করেছে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের কিছু সত্তা এখনও আছে। এরা পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। এদের উত্তরসূরিরা এখনও বাংলাদেশে আছে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের হাজার বছরের ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে। যে বিশ্বাসের মূল কেন্দ্র হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারণ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ছে। আমরা চাইবো এ সহযোগিতার দিগন্ত যেন আরও সম্প্রসারণ হয়, যাতে আমরা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর বন্ধুত্বের নজির দেখাতে পারি।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শ ম রেজাউল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
জিসিজি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।