খুলনা: খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মহানগর গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পক্ষ থেকে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ডিবির এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় কেএমপির খালিশপুর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) হুমায়ুন কবিরকে ঘটনার তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আসামি কারাগারে রয়েছেন।
অপরদিকে ভুক্তভোগী নারীর প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের হেফাজতে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু কন্যা ও এক ভাগ্নেকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনায় আসেন এক নারী (২৮)। তবে ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় রাতে থাকার জন্য সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে তৃতীয় তলার ৩১৩ নম্বর রুমে মেয়েকে নিয়ে ওই নারী থাকেন। আর ভাগ্নে আরেক রুমে থাকে।
রাত সোয়া ২টার দিকে হোটেল বয়কে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে রুমে প্রবেশ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম। ওই নারীর সঙ্গে থাকা মেয়েটি জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। তিনি নিজের মেয়ে পরিচয় দিলে জাহাঙ্গীর বিশ্বাস করতে চায়নি। এরপর হুমকি-ধামকি দিয়ে হোটেল বয়কে রুম থেকে তাড়িয়ে দেন।
রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ভয়-ভীতি দিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী ও তার মেয়ের চিৎকারে হোটেল বয় ও অন্যরা এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পরে ভাগ্নে সবকিছু শুনে হোটেলমালিক মিশারুল ইসলাম মনিরকে বিষয়টি জানালে তিনি এসে হোটেলের মেইন গেট তালাবদ্ধ করে রাখে এবং পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আসামিকে আটক করে।
আরও পড়ুন:
ধর্ষণের অভিযোগে ডিবির এসআই গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
এমআরএম/জেএইচটি