ফেনী: ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে পূজা উদযাপন পরিষদের মিছিলকে কেন্দ্র করে মুসল্লি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক সহ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আদালতের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত দল সরেজমিনে গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম, মধুপুর, ফেনী পৌরসভার মহাপ্রভুর আশ্রম পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থিত দোকানের মালিক, কর্মচারী, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিত লোকজনের সাথে ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন। পরিদর্শনকালে ১১ জন স্থানীয় সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ভাংচুরের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। ঘটনার দিন পোড়া গাড়ির স্থিরচিত্র সংগ্রহ করেন। ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র, সূচী ও সূচীর ব্যাখ্যা প্রস্তুত করেন।
তদন্ত কমিটিতে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজ উদ্দিন, কামরুল হাসান ও ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা এবং কোর্ট ইন্সপেক্টর মো: গোলাম জিলানী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষীগণ দূর্গাপুজার দশমীর পরের দিন রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মহাপ্রভুর আশ্রমে ভাংচুর, অগ্নিকাণ্ড, নারকীয় তাণ্ডবসহ ওই রাতের ঘটনাপ্রবাহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত টিমের কাছে বর্ণনা করেন। স্থানীয় পরিদর্শনে গাজীগঞ্জ, মধুপুর, ফেনী পৌরসভার মহাপ্রভূর আশ্রমের সেবায়েত, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওই সূত্র আরও জানায়, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন মামলায় গত ২৮ অক্টোবরের আদেশমূলে দেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও রংপুর জেলায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও তীর্থস্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আলোকে সরেজমিনে পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে ফেনীর ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এসএইচডি/এনএইচআর