ঢাকা: রোকেয়ার পথে বাংলাদেশ নারী-উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছে। নারীশিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীর দৃশ্যমান অবদান, কৃষি থেকে বৈদেশিক অর্জনে নারীর গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ প্রমাণ করে আমরা রোকেয়ার যথার্থ উত্তরসূরী।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমি আয়োজিত রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রাশেদা চৌধুরী বলেন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালি সমাজে শুধু লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করতে নীরব আন্দোলনে নামেননি বরং গোটা জাতির ভেতরে এক অভূতপূর্ব জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন। তার শতাব্দী-পূর্বকালের রচনা এবং শিক্ষা আন্দোলন আজও বিস্ময় জাগানিয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাগত বক্তব্যে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, রোকেয়া দিবস আমাদের জাগরণের দিবস। সামাজিক প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এক অবিস্মরণীয় নাম। তার প্রদর্শিত পথে আমরা আজ নারীবান্ধব মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলেছি।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারী-পুরুষ সাম্যের সমাজ তথা মানবসাম্যের গান গেয়েছেন। তার কালজয়ী রচনা যে বিপ্লবী দর্শন ও চেতনার সাক্ষ্য বহন করছে, আমাদের তার পাঠ নিতে হবে এবং যথাযথ বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। রোকেয়ার নারী-জাগরণ প্রয়াস প্রকৃতপক্ষে বৃহত্তর মানব-জাগরণের পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এইচএমএস/কেএআর