ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মরাই আগামী দিনের দেশ গড়ার কারিগর। সংস্কৃতিমনিা, সৃজনশীল, দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হলে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সংগ্রামী ও পারিবারিক জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা একই সূত্রে গাঁথা। তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা অসম্ভব। শোষণ, বঞ্চনা আর নিপীড়নের জালে বন্দি থাকা বাঙালি জাতির মুক্তির কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি লাল সবুজ পতাকাখচিত একটি ভূখণ্ড- বাংলাদেশ। নিপীড়িত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বঙ্গবন্ধু হাল ধরেছিলেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে সমান গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়েও নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু ১৫ আগস্টের সেই কলঙ্কিত অধ্যায় বাঙালি জাতিকে, বাংলাদেশের অগ্রগতিকে প্রায় স্থবির করে দিয়েছিল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, ১০ই জানুয়ারি-বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, বঙ্গবন্ধু ও শিশুরা এবং শোকাবহ ১৫ই আগস্ট -এ সাতটি বিষয়ের ওপর ছবি আঁকার জন্য 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ২০২১ -এর আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এইচএমএস/এসআইএস