হবিগঞ্জ: ভোট গণনায় গড়মিলের অভিযোগ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। অভিযোগ নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত নির্বাচনের গেজেট প্রকাশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১২ কর্মকর্তাকে এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী আমিরুল ইসলামের দাখিল করা কাগজপত্র অনুযায়ী নির্বাচনী ফলাফলে গুরুতর গড়মিলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই পরবর্তী ৪ সপ্তাহের জন্য ফলাফল স্থগিত করা হলো। আদেশের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে উত্থাপিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আইনে সমাধান করার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অভিযোগ নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত গেজেট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত।
এ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে গত ২৯ নভেম্বর রিট করেন তার আইনজীবী মো. সাখাওয়াত এইচ খান। এতে মোট ভোট, বাতিল ভোট ও প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে গড়মিল রয়েছে বলে ফলাফল স্থগিতের আবেদন জানানো হয়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে এ সংক্রান্ত আদেশের কপি পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর লোকড়া ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী ২ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. কায়ছার রহমান। এ ছাড়া নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিরুল ইসলাম ২ হাজার ৫৪৭, আব্দুল হান্নান চৌধুরী ২ হাজার ৩৫৯, ইলিয়াছ আহমেদ ১ হাজার ৯৯৩, আহাম্মদ আলী ১ হাজার ৯৮৫, কয়ছর আহমেদ ১ হাজার ১৭৭, মীর জালাল ১ হাজার ১৬১ ও আজমান আলী পেয়েছেন ২৫৯ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এসআই