খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মং সার্কেলের রাজপূণ্যাহ উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়ায় রাজার মাঠ এ উৎসব শুরু হয়।
উপমহাদেশের সর্বকনিষ্ট রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরীর হাতে নজরানা ও রাজস্ব তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ই রাজপূণ্যাহ‘র মূল কর্মসূচি সূচিত হয়। এটি মং সার্কেলের অষ্টম রাজ পরিবারর ষষ্ঠ রাজপূণ্যাহ।
মং সার্কেল প্রধান রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী মঞ্চে আসার পর তার প্রতি আনুগত্য স্বরূপ তলোয়ার প্রদান করেন প্রজাদের পক্ষ একজন হেডম্যান।
পাহাড়িদের ঐহিত্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের পর রাজপূণ্যাহ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।
রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী তার বক্তব্য ১৯০০ সালর হিলট্রাক্টস ম্যানুয়েল অধিকতর কার্যকর করা, পার্বত্য চুক্তির ধারাসমূহ বাস্তবায়ন করাসহ পাহাড়ের উন্নয়নে হেডম্যান-কার্বারিদের ক্ষমতাশালী করার দাবি জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রামর তিন জেলা তিন সার্কেলের আওতায়। রাঙামাটি চাকমা সার্কেল, বান্দরবান বোমাং সার্কেল ও খাগড়াছড়ি মং সার্কল। মং সার্কলের আওতাধীন ১২১ জন হেডম্যান (মজা প্রধান) ও ৭০০ জন কার্বারি (পাড়া প্রধান) রাজার কাছে জুম কর দেবেন।
২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রাজা পাইহ্লাপ্রু চৌধুরী নিহত হবার পর তার সন্তান সাচিংপ্রু চৌধুরী রাজা হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এডি/আরবি