ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে মারধর করে সুই খাওয়ানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
বাগেরহাটে মারধর করে সুই খাওয়ানোর অভিযোগ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ফেরদাউস শেখ (১৮) নামে এক যুবককে কলার সঙ্গে সুই খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নালীতে সুই নিয়ে ২২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই যুবক।

এ অবস্থায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় ফেরদাউসের চাচাতো ভাই নিজাম শেখ কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফেরদাউস শেখ কচুয়া উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে।

নিজাম শেখ বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমার ছোট চাচা জামাল শেখের ছেলে ফেরদাউস শেখকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে প্রতিবেশী এশারাত শেখ, বাদশা শেখ, মোস্তফা শেখ ও হাবিব শেখ। মারধরের এক পর্যায়ে পাকা কলার ভিতরে সুই ঢুকিয়ে জোরপূর্বক ফেরদাউসকে খাওয়ানো হয়। পরে ফেরদাউসের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা ফেরদাউসকে ছেড়ে দেয়।  

অসুস্থ অবস্থায় ফেরদাউসকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, খালিশপুর ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে টাকার অভাবে সুচিকিৎসা না পেয়ে ৮ ডিসেম্বর খুলনা শহরের সাউথজোন ক্লিনিকে ফেরদাউসের অপারেশন করানো হয়। এখনও আমার ভাই সুস্থ হয়নি। চিকিৎসকরা বলেছেন তিন মাস পরে আবারও একটি অপারেশন করা লাগবে।

ফেরদাউসের আরেক চাচাতো ভাই ইব্রাহিম শেখ বলেন, খুব কষ্ট করে ভাইয়ের চিকিৎসা করাচ্ছি। যার ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছি। বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) মারধরকারীদের লোকজন ফেরদাউসকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসার জন্য তারা কিছু টাকাও দিয়েছেন। সুই বের করার জন্য অপারেশন করা হয়েছে। তারপরেও আমার ভাই সুস্থ্য হয়নি। আবারও অপারেশন লাগবে, বাঁচবে কিনা জানিনা। আমরা ভাইয়ের সুস্থ্যতাসহ, মারধরকারীদের বিচার চাই।

এশারাত শেখ বলেন, ফেরদাউস শেখদের সঙ্গে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতা রয়েছে। তবে সুই খাওয়ানোর ঘটনায় আমরা জড়িত নয়। চিকিৎসার ব্যয় বহনের জন্য টাকা দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে আর ফোন রিসিভ করেননি, এশারাত শেখ।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরদাউসের পরিবার আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।