ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা নতুন ঢং। যে কোনো অভিযোগ তথ্য ভিত্তিক হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিঁখোজ হয়। তাদের মতো পরিপক্ক গণতন্ত্রের দেশ থেকে এটা কাম্য নয়।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করা হয়েছে। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ৬ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞারা তালিকায় আরও রয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) আনোয়ার লতিফ খান।
>>> আরও পড়ুন: র্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ১১ডিসেম্বর , ২০২১
টিআর/এমএমজেড