ঢাকা: সব কিছু নিরাপদ ভাবলে মারাত্মক ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবসের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজ্জামেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা ১৫ আগস্ট একজন ব্যক্তিকে শুধু হত্যা করতে চায়নি, তারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বাস্তবে তারা কিছুটা সফলও হয়েছিল কারণ পরের ২১ বছর জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পূর্ববর্তী অবস্থায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিতাড়ন করেছিলেন। বাহাত্তরের সংবিধানে যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই রাজনীতিকে আবার ফিরে আসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই কাজটি অত্যন্ত সুচতুরভাবে করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া। তিনিই সেই ব্যক্তি, যিনি পঁচাত্তরের ঘাতকদের সাংবিধানিকভাবে হত্যার দায়মুক্তি দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন করেছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে জিয়া-এরশাদ-খালেদার পাকিস্তানীকরণ কর্মসূচিতে ছন্দ পতন ঘটে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গঠনের মাধ্যমে। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এক ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করেছেন। নিজে পরিচিত হয়েছেন একজন বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। কিন্তু তার সামনে শুধু একটা মসৃণ পথ, তা ভাবলে ভুল হবে। তারেক রহমান পলাতক, আর কয়জন কারাগারে, মোশতাকের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে, তা ভেবে সব কিছু নিরাপদ ভাবলে মারাত্মক ভুল হবে।
ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর তন্ময় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস