ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা!

খুলনা: বিদেশে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২৭) পাচারকালে ওই চক্রের ছয়জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ সদস্যরা।  

ভারতের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় পাচারের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

গ্রেফতার পাচারকারী চক্রের সদস্যরা হলো- ডুমুরিয়া উপজেলার চেচুড়ি এলাকার মো. ফারুক গাজী (১৯), দহাকুল এলাকার সঞ্জীব কুমার মণ্ডল (৫০), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার সামান্তা এলাকার মো. সাঈদ আনোয়ার ওরফে চঞ্চল (২৫), ভগবতিতলা এলাকার মো. আলী হোসেন মণ্ডল (৪৫), সামান্তা চারাতলা এলাকার মো. ছয়ফাল মণ্ডল (৪০) ও ডুমুরিয়া উপজেলার গোনালী গ্রামের এফ এম রফিকুল ইসলাম (৪০)।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে লবণচরাস্থ রাব-৬-এর সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১১ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, ভুক্তভোগীকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান আসামি এফ এম রফিকুল ইসলাম। পলাতক আসামি আক্তার মোল্লার সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। আক্তার মোল্লার সঙ্গে ভুক্তভোগী মোবাইলে কথা বলেন। এক পর্যায়ে মো. ফারুক গাজী ভুক্তভোগীকে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানার ৪ নম্বর খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা বাইলেখালি ব্রিজের ওপর আসতে বলেন।  

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই স্থানে এলে আসামি ফারুক গাজী ও সঞ্জিব মণ্ডলের মোটরসাইকেলে দুজনের মাঝে বসিয়ে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের কথাবর্তায় ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগী চিৎকার করেন। খবর পেয়ে র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি দল ওই স্থানে উপস্থিত হলে আসামি দুজন ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন।  

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই জায়গা থেকে মো. ফারুক গাজী ও সঞ্জীব কুমার মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে খুলনার ডুমুরিয়া থানা, যশোরের মনিরামপুর থানা, কেশবপুর থানা, চৌগাছা থানাসহ ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার সামান্ত বাজারে আর্ন্তজাতিক সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশি এজেন্টসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের ডুমুরিয়া থানায় হস্তান্তরসহ মানবপাচার আইনে মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে।

ব্রিফিংয়ের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) আল আসাদ, মো. মাহফুজুল ইসলাম ও স্কয়াড কমান্ডার লে. আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এমআরএম/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।