ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী: নরসিংদীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী।  রোববার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শহরের চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়ার সংঙ্গীতা এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় স্বামী ফখরুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে তাদের হত্যার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ।

নিহতরা হলেন রেশমী আক্তার (২৬) ও তার দেড় বছরের শিশু সন্তান সালমান সাফায়াত। রেশমী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে।

স্বজনরা জানায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে রেশমীর সঙ্গে ঘোড়াদিয়া সঙ্গিতা এলাকার মো. সাইফুল্লার ছেলে ফখরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমীর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান। কিন্তু এরপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেশমী ও তার সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ফখরুলের বাবা সাইফুল্লাহ বলেন, রোববার রাত ১২টায় ফখরুল বাইরে থেকে বাসায় আসে। পরে রাত ২টায় ফখরুলের বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরে আমরা রুমে গিয়ে রেশমী ও তার ছেলে সালমানকে বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ফখরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার বড় ভাই ধাওয়া দিয়ে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে।  

নিহত রেশমীর বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েটাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো ওরা। আমরা কষ্ট পাবো ভেবে মেয়ে আমাদের কিছুই বলতো না।

তিনি আরও বলেন, ফখরুল মাদকাসক্ত ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখে বিয়ে দিয়েছিল ওর পরিবার। এখন আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।

নরসিংদীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, নিহত রেশমীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এমন বিষয় নিয়ে তার স্বামী তাকে সন্দেহ করতো। এরই জেরে স্বামী ফকরুল মিয়া তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে। ফকরুলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।