সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী সাতমাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর মা।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ধর্ষক সোহাগ হোসেন বাবু। সে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামের ছবিলার রহমানের ছেলে এবং কুশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বিদেশ ফেরত সোহাগ হোসেন বাবু তাদের প্রতিবেশী। সে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরও সোহাগ তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে দিনমজুর বাবা-মা কাজের জন্য বাইরে গেলে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীকে সে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল। এতে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ। এভাবে কালক্ষেপণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পারে। ঘটনাটি বাবা-মাকে খুলে বললে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ২৮ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি স্পষ্ট হয় ভিকটিমের।
পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সোহাগের বাবা ছবিলার রহমান গ্রাম্য মাতব্বর সুরত আলী, নাসির, রেজাউল মোল্লাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীর পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দিয়ে ব্যর্থ হয়। এখন স্কুলছাত্রীর বাব-মাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে সোহাগ হোসেন বাবু।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর বাবা-মা থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে গত ৭ ডিসেম্বর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোহাগ হোসেন বাবুকে আসামি করে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, আদালত থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংরাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ১৩ ঘণ্টা, ২০২১
এমএমজেড