পঞ্চগড়: লতিফুল ইসলাম (২২)। তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পরদিন শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বোদা উপজেলার বেংহারি ইউনিয়নের ফুলতলা-গড়েয়াগামী পাকা রাস্তার ৫০০ গজ দক্ষিণ-পশ্চিমে বোয়ালমারী এলাকার শ্রী হরিস চন্দ্র সরকারের বাদাম ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে তাকে হত্যা করে লতিফুলের ইজিবাইকটি মাত্র ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেন পঞ্চগড়ের এডিসনাল এএসপি সপিকুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বোদা উপজেলার সইমনপাড়া এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০) ও সুভাসুজন ঝেরঝেরিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মেহেদী হাসান মিলনকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে আরও ৪ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অপর ৪ আসামিরা হলেন- বোদা উপজেলার দয়াদিঘী কান্তমনি বাসডাঙ্গা এলাকার হাসান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০), সাকোয়া বীরপাড়া এলাকার মৃত শাহাদাতের ছেলে রবিউল আলম (২৮), ইসলামবাগ এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে রিংকু ইসলাম (৩৩) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীগঞ্জ বাজারপাড়া এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে মাজেদুল হক (৩০)। তারা সবাই চোরাই ইজিবাইক বেচা-কেনা করতেন। তবে তাদের সঙ্গে থাকা এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
এএসপি সপিকুল ইসলাম বলেন, সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত সোহেলের চালক লতিফুল পরিচিত থাকায় সেখানে ছিনতাইয়ের কোনো সুযোগ না থাকায় তারা তাকে হত্যা করে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় এবং নিজের দোষ শিকার করেন। তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যা করার পর ইজিবাইকটি অপর আসামি রবিউল ইসলামের (৪০) কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন হত্যাকারীরা। এদিকে ভিকটিমের মোবাইফোন উদ্ধারসহ তাদের কাছে থেকে ইজিবাইকের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। তাদের সবাইকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এনটি