গাইবান্ধা: প্রত্যন্ত পল্লীতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী একটি পাকুড় গাছ। শতবর্ষী বলা হলেও গাছটির প্রকৃত বয়স কারও জানা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের মেঘেরচর মাঝিপাড়া গ্রামে প্রাচীন ওই গাছটিতে দেখা মিলেছে শতাধিক মৌচাক। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
ওই গ্রামে সরকারি একটি খাস জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা গাছের নিচেই রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছোট্ট একটি মন্দির।
একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই পাকুড় তলায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একবার হলেও পাকুড় তলায় থমকে দাঁড়াচ্ছেন লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ শিলা রাণী বাংলানিউজকে জানান, বিয়ের পর আমার শাশুড়ির মুখে প্রাচীন এই গাছটির গল্প শুনেছি। তিনিও জানতেন না এই গাছটির বয়স কত। বিয়ের পর তিনিও আমার মতো গাছটি দেখেছেন। গাছটিতে প্রতি বছরই মৌচাক বাসা বাঁধে কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক আগে দেখা যায়নি। খবর পেয়ে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এখানে আসছেন।
একই গ্রামের অরেক বাসিন্দা শচিন চন্দ্র (৬২) বলেন, বর্তমানে সরিষা চাষের মৌসুম চলছে। তাই মৌমাছিরা সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে। প্রায় দু’মাস আগে থেকে গাছটিতে মৌমাছিরা বাসা বাঁধতে শুরু করে। গাছটিতে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫টি মৌচাক ছিল। দেড় মাস ধরে ওইসব মৌচাক থেকে মধু আরোহণ করা হচ্ছে।
শচিন চন্দ্র আরও বলেন, স্থানীয় আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে চলতি সরিষা মৌসুমে মধু বিক্রির জন্য ২০ হাজার টাকায় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ওই টাকা মন্দিরের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবিন চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, মৌমাছিরা সব সময় দলবদ্ধভাবে উঁচু স্থানে বসবাস করে থাকে। সে কারণে মৌমাছিগুলো প্রাচীন এ পাকুড় গাছটিতে বাসা বেঁধেছে। এবার এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হওযায় সহজেই মধু সংগ্রহ করতে পারছে মৌমাছিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
এসআরএস