বরিশাল: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে আসা স্বজনদের ঝালকাঠি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আশ্রয় দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের মাঝে খাবার, পানি ও কম্বল বিতরণ করেন।
নিখোঁজদের স্বজন জলিল বলেন, তার ভাইয়ের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও শিশু সন্তান নুসরাত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আর তাদের খোঁজ পাননি। এরপর তারা বরগুনা সদরের পরীরখাল এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন মিলে স্বজনদের সন্ধানে এখানে আসেন। কিন্তু এখনো তাদের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি।
সোহরাব হোসেন নামের অপর স্বজন বলেন, ঝালকাঠি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের নদী তীরে রাতে তারাসহ অন্য নিখোঁজদের স্বজনরা বসেছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা তাদের এই স্কুলে এনে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা খাবার ও শীত নিবারনে বস্ত্রও দিয়েছেন।
এদিকে, রাতে ঝালকাঠিতে থাকা ৩৬টি মরদেহ বরগুনা জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকীদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এমএস/জেএইচটি