বরগুনা: এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাভাবিক সময়ে রাতে অধিকাংশ লঞ্চযাত্রী ঘুমিয়ে থাকলেও এ ঘটনার পর তাদের জেগে থাকতে দেখা গেছে।
বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে নৌপথে ভ্রমণ পিপাসুদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে করে নৌপথে চলাচলে আগ্রহ হারাচ্ছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে লোকসানের আশঙ্কা করছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলে এই সেবা আগামী দিনে চালু রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হতে পারে কর্তৃপক্ষের।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফারহান-৮ লঞ্চের ডেক যাত্রীদের গভীর রাতেও না ঘুমিয়ে মনে আতঙ্ক নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। সাধারণত এই সময় লঞ্চের যাত্রীদের আরামে ঘুমানোর কথা। কিন্তু ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিছুতেই আতঙ্ক কাটছে না বলে জানান একাধিক যাত্রী।
এছাড়াও শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ফারহান-৮ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আলিফ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ফারহান-৮ লঞ্চের কেরানী জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এম.কে শিপিং লাইন্সের অন্তর্গত শাহরুখ দুই লঞ্চের অডিট অফিসার আলিফকে ইঞ্জিন রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নাড়াচাড়া করতে দেখেন আমাদের সহকর্মীরা। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে আমাকে জানালে তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রথমে ঢাকা সদরঘাট টার্মিনালের নৌ-পুলিশ, পরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
এমএমজেড