বরগুনা: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যমজ বোনের মরদেহ নিয়ে গেলেন মামা, নিখোঁজ রয়েছেন মা।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান।
শনাক্ত হওয়া দুই শিশু হলো- বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা এলাকার রফিকুল ইসলামের যমজ কন্যা লামিয়া আক্তার (৪) ও সামিয়া আক্তার (৪)।
এর আগে, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে সদরঘাট থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চ ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন সুগন্ধা নদীতে এলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে নিহত ৩৭ মরদেহ বুঝে পায় বরগুনা জেলা প্রশাসন।
যমজ লামিয়া ও সামিয়ার মামা আবদুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আমার যমজ ভাগ্নির মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছি। মরদেহ বুঝে পেয়েছি, নিজেরা নিয়ে পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্থা করবো।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, লামিয়া ও সামিয়া নামে যমজ শিশুর মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মা শিমু আক্তার ও নানী দুলু বেগমের সঙ্গে দাদাবাড়ি বেড়াতে বরগুনা আসছিল লামিয়া ও সামিয়া। অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের বাবার আসা হয়নি। এরপর ঢাকা থেকে বরগুগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সামিয়া এবং লামিয়া। তাদের নানী দুলু বেগম গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তাদের মা শিমু আক্তার এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাবা রফিক স্ত্রীকে খুঁজতে বরিশালে আছেন।
** নিহত ও আহতের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেবেন বরগুনা ডিসি
** লঞ্চে আগুন: নিখোঁজদের তথ্য মিলছে না বরগুনা নৌ-বন্দরে
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
এসআরএস