ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্যাতনের শিকার ৭৬ শতাংশ নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
নির্যাতনের শিকার ৭৬ শতাংশ নারী

ঢাকা: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব উম্মে কুলসুম বলেছেন, আমাদের প্রত্যেকটা ঘরকে নারীদের জন্য নিরাপদ দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই নারী নির্যাতনের হার কমে যাবে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-১ এর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারের কিংস হলে ‘আস্থা’ প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উম্মে কুলসুম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন। যে সংবিধানে নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণি-গোত্রের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে যে সব বিদ্যমান আইন রয়েছে সেখানে নারীদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কিছু আইন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। যেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। দেশে পাঁচ শতাধিক নারীবান্ধব হেল্প ডেক্স তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, নারী বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরিতে সরকার চিন্তা করছে। নারী নীতি ও বিভিন্ন পলিসি রয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি, নারী নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। এই বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ৭৬ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ্যান ভন লিউওয়ে, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রদেশীয় প্রতিনিধি ড. এইকো নারিতা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের জিবিভি ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর রুমানা খান প্রমুখ।

‘আস্থা’ প্রকল্পটি লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বহুবিধ ক্ষেত্রে জনসেবার সুবিধা প্রাপ্তির নিশ্চিতে এবং পারিবারিক সহিংসতা ও ধর্ষণ, বাল্যবিয়ে, যৌতুক সংশ্লিষ্ট সহিংসতার মতো উদ্বেগপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। জামালপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও কক্সবাজার-এ চার জেলার ১২টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়নে ‘আস্থা’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি আউটরিচ ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্পের অধীনে সর্বমোট ২০ হাজার ৩৯৪টি উঠান বৈঠক, নারীদের সহায়তায় এক হাজার ৮৩৬টি সভা, ৫০৪টি দম্পতি সভা, ১১টি থিয়েটার শো, ৩০৯টি ভিডিও এবং ৫০টি সচেতনতামূলক সভা আয়োজিত হয়েছে।

লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা হ্রাসে এ প্রকল্প থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলোর আলোকে অনুষ্ঠান শেষ হয়। বক্তারা লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার মামলাগুলো সমাধানে এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা হ্রাস করার জন্য উপযুক্ত যোগাযোগ মাধ্যম, পদ্ধতি এবং কৌশল ব্যবহারে সেবা প্রদানকারী ও স্থানীয় সিএসও, পুরুষ এবং কিশোরদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বহু অংশীজনদের অংশীদারত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এমএমআই/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।