ঢাকা: একবার নিষ্পত্তিকৃত কোনো দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি বলেন—আপনারা আমাকে যে শর্তযুক্ত (শর্তে) ছেড়ে দিয়েছেন, এটা আমি মানি না, আমাকে জেলে নিয়ে যান, আমি আবার দরখাস্ত করব। তখন উনি আবার দরখাস্ত করতে পারেন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতে কোথাও নেই যে, তাকে আমরা আগের দরখাস্তের বিবেচনায় বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারব। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কাউকে বিদেশ যেতে দেওয়া যাবে না, এটা আমি কখনো বলিনি। একবার নিষ্পত্তিকৃত কোনো দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় নেই।
তিনি জানান, এভারকেয়ার হাসপাতাল তার (খালেদা) জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তিতে চিকিৎসা করছে। আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, কিছুটা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখানে তিনি যতটুকু সম্ভব সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। এইটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি। সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তাদের ইচ্ছেমতো তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং পাচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন সেটি কিন্তু আওয়ামী লীগ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০১২ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সেই মামলার প্রতিবেদন দেয়। মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলাকালীন তারা অন্তত ১০ বার হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে আবেদন করেছে মামলা স্থগিত করার জন্য। অনেক বিচারকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। সবকিছুর পর রায় হয়েছে। একটি মামলায় বিচারিক আদালতে সাজা পাঁচ বছর, হাইকোর্টে সেটি বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। আরেকটা মামলায় পরে খালেদা জিয়ার সাত বছর সাজা হয়েছে।
তিনি (খালেদা জিয়া) যখন সাজা ভোগ করছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুটি বিশেষ শর্তে সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেন বলেও যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খালেদার দরখাস্ত পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা আমার নেই
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এমজেএফ