ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমতা প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী যুব নেটওয়ার্ক গড়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
সমতা প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী যুব নেটওয়ার্ক গড়ার আহ্বান

ঢাকা: সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী ও দৃঢ় যুব নেটওয়ার্ক গড়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যুবকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো কিছু অর্জন করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ এর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, তরুণরাই আমাদের সাম্প্রতিক উন্নয়নের সম্মুখসারির লড়াকু শক্তি। এটি আমাদের আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী করে যে, এই তরুণরাই একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে। তরুণরা ‘সমতা ও সমৃদ্ধির জন্য সহিষ্ণুতার’ দর্শন আত্মস্থ করবে এবং সমাজ ও মানবতার জন্য অবদান রাখবে।

তিনি বলেন, যুবকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো কিছু অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশে তরুণদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ জনসংখ্যাগত সুবিধায় রয়েছে।

গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং জাতির উত্থান অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিশ্ব দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তরুণরাই অগ্রগতির বাহক এবং তারা এ পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে।

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) জাতিসংঘের (ইউএন) পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্ত:সরকারি সংস্থা। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্য হয় এবং তখন থেকে সংস্থাটির সঙ্গে একটি শক্তিশালী বন্ধন রয়েছে।

ঢাকাকে ওআইসি যুব রাজধানী ২০২০ হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ওআইসি এবং ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলো সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর আগামী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দুটি মেগা ইভেন্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময় এই অনুষ্ঠানটি ইভেন্টগুলোকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করেছে।

যুবক বয়সে বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণের কথা স্মরণ করে নতুন প্রজন্মকে তা অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক তার বাবার মতোই যুবকদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা সারাটা জীবনই অন্যদের দুঃখ দূর করতে ও মানুষের সহায়তায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। নিজের সুখ-দুঃখের ব্যাপারে তার কোনো খেয়াল ছিল না। অপরের দুঃখ তাকেও ব্যথিত করতো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই শুধু তার নিজের বা তার পরিবারের কথা চিন্তা করতেন না বরং যেখানেই তিনি অন্যায়, শোষণ ও নিপীড়ন দেখতেন, সেখানেই প্রতিবাদ করতেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, রুশ ফেডারেশনের তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের যুব বিষয়ক মন্ত্রী তিমুর সুলেমানভ, আইসিওয়াইএফ সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
এমইউএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।