মেহেরপুর: চারদিন ধরে মেহেরপুরে দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতে শুধু মানুষই নয়, জবুথবু হয়ে পড়েছে সব প্রাণীকুল।
প্রতিদিনই হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকদিনে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডা জণিত কারণে হাসপাতালের ইনডোর এবং আউটডোরে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শিশু ও বয়স্ক রোগীরা বেশি ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন। প্রতিদিনই ৪-৫ শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টায় মেহেরপুর অঞ্চলে ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দুই দিন যাবৎ তাপমাত্রা প্রায় অপরবির্তিত রয়েছে।
উত্তরের ঠান্ডা বাতাস ও মাঝারি কুয়াশা বিরাজ করায় বেলা ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা কোথাও। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ যানবাহনগুলো দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে।
মেহেরপুর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসার লিয়াকত আলী বলেন, শীত শুরু হওয়ার পর মেহেরপুর জেলায় সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৯ হাজার ৪০০ কম্বল এসে পৌঁছেছে। এছাড়া শীত বস্ত্র কেনার জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ২২ লাখ নগদ টাকা পাওয়া গেছে। ওই টাকা থেকে ইতোমধ্যে কিছু শীতবস্ত্র কেনা হয়েছে। বাকী টাকা দিয়ে শীত বস্ত্র কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে দুটি পৌরসভা ও ১৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে গরীব অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
জেডএ