মেহেরপুর: দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাংনীর কাথুলি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে দুই সাধারণ সদস্য (মেম্বার) গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৫৭ জন আসামি উচ্চ আদালতের নির্দেশে মেহেরপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে মামলার জোড়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি পরাজিত মেম্বার প্রার্থী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ৫৭ জন আসামি মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন নাহারের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তারা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
আদালতে আত্মসমর্পণ করা ৫৭ জনের মধ্যে রয়েছেন রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের ছৈফতুল্লাহ ছেলে গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, গোলাম হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক, জফের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে ছমির, মহব্বত আলী শেখ হামিদুল, সাহার আলি ছেলে টিপু,জার্মান আলীর ছেলে মানা, নুর ইসলামের ছেলে মিনা,পাতুর ছেলে সিরাজুল,সহিদুলের ছেলে বাবলু,আকছাদে ছেলে মাদার,মোহম্মদ আলীর ছেলে রুহুল হেলুর ছেলে জাহিদ, আকছাদের ছেলে মিনহাজুল, চাঁদ আলীর ছেলে এনামুল, জানবারের ছেলে এনামুল হক, জফেরের ছেলে নুর ইসলাম, এরশাদের ছেলে আনোয়ার, সৈয়ফতু উল্লাহ ছেলে পাতু, সাহার, জার্মান আলী হানা, রবিউল, বিপ্লব, জামারুল, আলিফ, ইন্তাজ, মান্নানের ছেলে জসীম, আনারুলসহ অন্যরা।
এর আগে ৮ নভেম্বর গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামে ২ মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে বিবাদের জের ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে জাহারুল ইসলাম এবং সাহাদুল নামের দুই সহোদর ভাইকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই লাল্টু বিশ্বাস বাদী হয়ে আতিয়ার রহমানকে প্রধান আসামী করে ৬৬ জনের নামে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৯।
ঘটনার পরপরই গাংনী থানার পুলিশ রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের জাহারুল, মহব্বত, নজরুল, আখিরুল, কাটু, হেলু এবং লাভলু নামের ৭ জনকে গ্রেফতার করে। মামলার অপর দুই আসামি আমিরুল এবং শাহার আলি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮, জানুয়ারি ০৭, ২০২২
এসআইএস