ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞায় মাদরাসাছাত্রকে বলৎকারের ঘটনায় তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল আসামি পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ ৪ শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্র উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সমাসপুর আনোয়ারুল উলুম মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সে ওই মাদরাসায় থেকে পড়ালেখা করে।
গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে সব ছাত্র যখন আসরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে চলে যায় তখন হেফজ বিভাগের সহকারী শিক্ষক মো. কাউছার ওই ছাত্রকে মসজিদে যাওয়ার আগে নিজের কক্ষে দেখা করতে বলে। ছাত্রটি তার কক্ষে গেলে একপর্যায়ে তাকে টয়লেটে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিম বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা মাদরাসার প্রিন্সিপালকে জানান। কিন্তু মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভুক্তভোগী ছাত্রের মা মামলা করেন।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মো. কাউছার ছাড়া অপর তিন আসামিকে বৃহস্পতিবার মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুস সাত্তার (৪০), সহকারী শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম (৩৯), কিতাব বিভাগের শিক্ষক আফতাব উদ্দিন (৪০)।
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব জানান, প্রধান আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করায় ভিকটিমের মা গ্রেফতার তিন শিক্ষককে মামলায় আসামি করেছেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ৭ জানুয়ারি, ২০২২
এসএইচডি/এমএমজেড