ঢাকা: নওগাঁ জেলার সাপাহার হাপানিয়া সীমান্তে গুলিতে সালাউদ্দীনের (৩০) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ)৷
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বিএসএফ’র পক্ষ থেকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ’র ব্যাখ্যায় বলা হয়, শনিবার (৮ জানুয়ারি) ভোর আনুমানিক ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে পান্নাপুর সীমান্ত চৌকির কমান্ডার টহলরত অবস্থায় বিওপির কার্যসীমার মধ্যে (সীমান্ত পিলার নং ২৩৬ এর কাছে, চৌকি থেকে প্রায় ১.২ কিলোমিটার দূরে) আন্তর্জাতিক সীমার দুই অংশেই সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন।
সীমান্তের বেড়ার দুই পাশেই চোরাচালানকারীরা জড়ো হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় চোরাচালানরীরা গবাদিপশু সীমান্তের অন্যপাশে পাচার করছিল। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করে। পরিস্থিতি এবং চোরাকারবারীদের আগ্রাসীভাব টের পেয়ে তিনি দুই রাউন্ড গুলি ছুড়লে চোরাকারবারিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে দুইটি গবাদিপশু জব্দ করা হয় এবং সেখানে রক্তের দাগও দেখতে পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে একজন চোরাকারবারির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার, সাপাহার উপজেলার, আলাদীপুরের কৃষ্ণসদা গ্রামের বুধু হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেনের বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে হাবিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহ পুলিশি প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২২
টিআর/আরআইএস
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।