ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর রক্ত নিয়েছিলেন ভুয়া চিকিৎসক!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর রক্ত নিয়েছিলেন ভুয়া চিকিৎসক!

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ঢুকে পরীক্ষার জন্য রোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসক। পরে জানা গেল তিনি ভুয়া চিকিৎসক! তবে এরই মধ্যে প্রতারণা করে জোরপূর্বক টাকা আদায় ও রোগীর স্বজনকে মারধর করা হয়।

পরে এ অভিযোগে দুই ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরের লক্ষ্মীপুর মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে মহানগরের রাজপাড়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

গ্রেফতার দু’জন হলেন- মহানগরের রাজপাড়া থানার কেশবপুরের নজরুল ইসলামের ছেলে সালমান শরীফ বাবু (৩৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার মকরমপুর এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৭)।  জাহিদ মহানগরের রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর আত্রাই থানার মাধবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে সালমান শরীফ নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সেই ওয়ার্ডে ঢুকে ভর্তি থাকা সিরাজুল ইসলামের শরীর থেকে রক্ত নেন। তিনি জানান রোগীর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এ সময় আরও কয়েকজন রোগীর রক্ত নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর সালমান রোগীর ছেলে সুমন আলীকে 'রাজশাহী ডায়াগনস্টিক' সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য বলেন। পরে সুমন রিপোর্ট চাইতে গেলে আসামিরা রিপোর্ট বাবদ চার হাজার টাকা দাবি করেন।

সুমন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি চিকিৎসক ভেবে আমরা পরীক্ষা করার জন্য রক্ত নিতে দিয়েছি। কিন্তু পরে তারা চার হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই জানিয়ে বাবার চিকিৎসার কাগজপত্র ফেরত চাইলে আসামি সালমান ও জাহিদুলসহ অজ্ঞাত আরও দুজন আমাকে রাজশাহী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে আটক রেখে মারধর করেন। এ সময় আমার পকেটে থাকা চার হাজার ৫০ টাকা জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সুমনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে আমরা আসামিদের অবস্থান শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান শুরু করি। সহযোগী অজ্ঞাত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।