হবিগঞ্জ: প্রথমবার বাংলাদেশ টেলিভিশনে গান গাইল দিতি দাস। সিলেটি ধামাইলে মেয়েটির জনপ্রিয়তা এখন দেশজুড়ে, ইউটিউবের একেকটি ভিডিওতে দুই মিলিয়ন ছাড়িয়েছে ভিউ।
দিতি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার বাসিন্দা। পাঁচজনের পরিবারে একমাত্র আয়ের মাধ্যম তার বাবা লন্ড্রি ব্যবসায়ী নারায়ণ দাস। সংসারের অভাব যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। গানের পথে আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় খানিকটা এগোলেও সামনে কী হবে, তা জানা নেই দিতির।
দিতির বাবা নারায়ণ দাস জানান, সঙ্গীতের প্রতি তার আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার ফাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতো। টাকার অভাবে তালিম নেওয়া হয়নি কোথাও। একটি হারমোনিয়াম কিনতে হাত পাততে হয়েছে মানুষের কাছে। প্রথম হারমোনিয়ামটি কেনা হয় মাধ্যমিকে ভর্তির পর।
বছর খানেক আগে দিতির সিলেটি ধামাইল গানের কয়েকটি ভিডিও দেওয়া হয় ইউটিউবে। একেকটি ভিডিওর ভিউ ছাড়িয়ে গেছে দুই মিলিয়নের বেশি। এখন ডাক আসছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গাওয়ার।
দিতি জানান, স্থানীয় ডিসিপি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষ করে চুনারুঘাট সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার সময় স্থানীয় গানের দল ধামালিতে যোগ দেয় সে। পরে মোস্তাক বাহার নামে একজন দিতিকে গানের তালিম দেন। ইউটিউবের অনুসারী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে গিয়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তার। স্থানীয়রা দিতির নাম দিয়েছেন ধামালী কন্যা।
দুই দিন আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘শেকড়ের গান’ অনুষ্ঠানে তার একটি গান পরিবেশিত হয়েছে। রাধারমণ দত্তের জলের ঘাটে গিয়া, একি রইলাম চাইয়া গানটি শোনে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রোতারা।
দিতি দাস জানায়, তার এ পর্যন্ত আসার পেছনে বাবা ও মায়ের পাশাপাশি সহযোগিতা করেছেন আইনজীবী মোস্তাক বাহার। এজন্য সে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বলেন, দিতি চুনারুঘাটের সম্পদ। তার প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে মেয়েটি এলাকার জন্য সুনাম বয়ে আনবে। দিতিকে সহযোগিতার জন্য তারা সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এএটি