ঢাকা: দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয়ভাবে গুজব, অপপ্রচার রটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। একইসঙ্গে সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নির্ধারিত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হয়। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্র। তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা যদি গত ৭/৮ বছরের পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি। অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় আইপিটিভির মাধ্যমে এখনও কোনো কোনো জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করা হয় এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না। যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে সেসব কথা বলেছি। অনেকগুলো আইপিটিভি দেখা যায় যে স্থানীয়ত্বে অনেক জনপ্রিয় মানুষ তাদের চিনে এবং তারা নিয়মিত খবর প্রচার করছে। তারাতো সেটা পারে না। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি যেটি সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা পারেন না তারা যেন এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসকদের আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ধন্যবাদ জানিয়েছি। গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও তাদের এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি। বিশেষ করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে তারা যেন কোনোভাবে স্থানীয় চ্যানেল হিসেবে টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন প্রচার না করে। সেসব বিষয় যেন জেলা প্রশাসকরা নজরে রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
জিসিজি/আরবি