ঢাকা: জেলায় কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয় সেটা জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জানেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে অধিবেশন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করি। অনুসন্ধান করে প্রমাণ হলে মামলা দায়ের করা হয়, তদন্তে প্রমাণিত হলে চার্জশিট দেই এবং শান্তির ব্যবস্থা করি। এটা হলো একটি কাজ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আরেকটি অন্যতম কাজ হলো সচেতনতা বাড়ানো, যাতে দুর্নীতি না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে সেটাও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কাজ। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। এ বিষয়ে তারা যেন আমাদের সাহায্য ও সহায়তা করে। দুর্নীতি থেকে মানুষ যেন দূরে থাকে। এজন্য তাদের বলেছি সচেতনতা বাড়াতে। জেলা অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির হয় ডিসিরা জানেন। কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে তাও তারা জানেন। ওই জায়গায় যেন তারা প্রতিরোধ ও সচেতনতা বাড়ায়। তাদের যেন তারা বলেন, দুর্নীতির বেড়া জালে জড়াবেন না। তারা যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের আরেকটি কাজ হলো গণশুনানি। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়। যা আমরা অনেকেই জানি না। কোথাও গিয়ে যদি জনগণের সঙ্গে আলাপ করা হয় তাহলে দুর্নীতির নানান ধরন গুলো জানা যায়। করোনার কারণে আমাদের গণশুনানি কিছুটা সীমিত আছে। আমরা তাদের বলেছি তারাও যেন জেলায় জেলায় গণশুনানি করেন। আমরাও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে করবো। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয় সেগুলো নিয়ে তারাও কাজ করবে আমরাও করবো।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের কিছু সমস্যা আছে। তদন্ত এবং অনুসন্ধানে কিছুটা সময় লেগে যায়। এটার কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও একটু বিলম্বিত হয়ে যায়। এটা একটি সীমাবদ্ধতা দুদকের এটা আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ হয় সেজন্য চেষ্টা করছি। দুর্নীতি এমন একটা জিনিস যেটা অল্প সময়ে তদন্ত করা কঠিন। প্রমাণ না থাকলে আদালতও সেটা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ দেয় এবং যে গ্রহণ করেন কেউ স্বীকার করেন না। এটির প্রমাণ পেতে একটু সময় লেগে যায়। আমরা তদন্ত-অনুসন্ধান কীভাবে দ্রুত সময়ে করা যায় সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা অনুসন্ধান করবে তাদের জবাবদিহিতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস