চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে দাফনের পাঁচ মাস পর কবর থেকে মোরসালিন (১৯) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
হত্যার পর ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গোমস্তাপুর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়পুর গ্ৰামের নানিহাটা সরকারি গোরস্থান থেকে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিশ মমতাজ ও গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজার উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ঘাটনগর গ্ৰামের কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এ সময় নিহতের পরিবারের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। স্বজনরা হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিলাপ করতে থাকেন। স্থানীয়রা ভিড় করতে থাকে ঘটনাস্থলের আশপাশে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ আগস্ট মোরসালিন ঘাটনগর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে পাশের একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। ওইদিন রাতে তাকে মেরে শোবার ঘরে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় মোরসালিনের মা শিরিনা বেগম বাদী হয়ে মোরসালিনের স্ত্রীকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গোমস্তাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
গোমস্তাপুর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা মোরসালিনের মরদেহ উত্তোলনের মাধ্যমে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে আদালত মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি দেন।
নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, মোরসালিনকে হত্যা করে তার বাড়ির শোবার ঘরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে যায় হত্যাকারীরা। তার শরীরে পরিহিত পোশাকের কাদা মাটির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পাশের বাড়ির নির্মাণাধীন একটি ভবনের বাথরুমের ভেতরে তাকে হত্যা করার সময় ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি গামছা ও রশি পড়ে ছিল সেখানে। এছাড়া তার স্ত্রীও স্বীকার করেছে তার স্বামীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে যাওয়া হয়।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
আরএ