ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষক কারাগারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
মাদ্রাসা ছাত্রকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষক কারাগারে

রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্র শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বাগমারা থানা পুলিশ ।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাকিল আহম্মেদ। তিনি বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। এই হাফেজিয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে শিশুশিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষার কার্যক্রম চলে আসছে। আশপাশের শিশুশিক্ষার্থীরা সেখানে থাকে। মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সেখানে তাদের থাকা-খাওয়াসহ সব ব্যবস্থা করেন। এজন্য দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) মাদ্রাসার নয় বছরের এক ছাত্রকে এই শিক্ষক নিজ কক্ষে ডেকে নেন।

পরে ওই ছাত্রকে তার কক্ষেই যৌন নির্যাতন করেন। এরপর ঘটনাটি কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও ওই ছাত্রকে হুমকি দেন তিনি। কিন্তু শিক্ষকের পাশবিক নির্যাতনের শিকার ছাত্র কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।

সে বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের পর বাগমারা থানা পুলিশ মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক শাকিলকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শিক্ষক নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতেই নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবা থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অসুস্থ ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান- বাগমারা থানার এই পুলিশ কমকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২ 
এসএস/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।