রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধ।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার কান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, সোমবার সকালে ঘনকুয়াশার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে ওই শিশু বাড়ি থেকে একটু দূরে টয়লেটে যায়। সেই সময় খলিলুর রহমান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা ওই বৃদ্ধের বাড়িতে যান। এ সময় ওই বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা-চাচাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সোহরাওয়ার্দী বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বৃদ্ধ খলিলুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনার পর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আহত ভিকটিমের পরিবারের অন্য সদস্যরাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বদিউজ্জামান বদি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত উভয়ে ভূমিহীন। তারা কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে তৈরিকৃত সরকারি ঘরে বসবাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এসএস/এনএইচআর