ঢাকা: এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) বোর্ড অব ট্রাস্টির তৃতীয় সভা ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সভার শুরুতেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রমের অনুবৃত্তিক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুর্যোগ সহনীয় বাংলাদেশ গড়তে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
সচিব বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দুর্যোগে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে এডিপিসির অনবদ্য ভূমিকা বর্তমান করোনা অতিমারির মধ্যে যেভাবে কার্যকর রয়েছে, তা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
সভায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, নেপাল, ফিলিপাইনস, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভায় এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের সামগ্রিক কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অত্যন্ত কার্যকরী বলে মতামত ব্যক্ত করেন। বিশ্বের অনেক দেশেই বর্তমানে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মডেল অনুসরণ করছে বলেও সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
২০২১ সালে এডিপিসির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও সম্প্রদায়কে ডিআরআর (দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস) ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক ডিআরআর ব্যবস্থা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরিতে বন্যা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, খরাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিরোধী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সেবাও দিয়ে আসছে এডিপিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ