হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মৌবাড়ি মাঠে সরিষা ক্ষেতে এবার ৫০টি মৌবক্স স্থাপন করেছেন ছুরত আলী। সেখান থেকে মধু আহরণ হবে ১০ সপ্তাহ।
ছুরত আলী ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুই বছরে তার সরিষা ক্ষেত থেকে আহরণ করেছিলেন দুই হাজার কেজি মধু। এর আগে ২০১৭ সালে হাফেজ নিয়ামত উল্লা নামে আরেকজন আহরণ করেন ১ হাজার কেজি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ছুরত আলীর মৌবক্স থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুড়িয়াউক গ্রামের মৌবাড়ি মাঠে ছুরত আলীর বক্স থেকে মধু আহরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দীন খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার, উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিদ জ্যোতি রঞ্জন, লাখাই রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. বাহার উদ্দীন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
এদিকে পুরো উপজেলায় সরিষা চাষ হলেও সেগুলোতে মৌবক্স স্থাপন করা হয়নি। সব জমিতে বক্স স্থাপন করতে পারলে বছরে কয়েকশ’ মেট্রিক টন মধু আহরণের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ২০২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হলে এ সব জমি থেকে কয়েকশ’ মেট্রিক টন মধু আহরণ করা যেত। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেত সরিষার চাষও। কিন্তু জমিগুলোতে বক্স স্থাপন না করায় সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আহরণ হচ্ছে না মধু।
স্থানীয়রা জানান, সরিষা ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের ফলে মধু মক্ষিকা মারা যায়। এ বিষয়ে কৃষকদের ধারণা থাকলে মক্ষিকা মারা যেত না। লাখাইয়ের যে যে ইউনিয়নে সরিষা চাষ বেশি হয় সে সব ইউনিয়নের আগ্রহী কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে উৎপাদন বাড়ানো যেত।
তবে শিগগিরই এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
জেডএ