ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জলাধার উদ্ধার অভিযানে গিয়েছিলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। সেই অভিযানে মালপত্র লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজনের নামে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতের কুড়িল উড়াল সড়ক এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটির অভিযানে এমন লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়রের উপস্থিতিতেই ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসাহাক মিয়ার কর্মী ও সমর্থকরা একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন সাইট অফিস ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা অফিসটির জানালার লোহার গ্রিলগুলো খুলে লুট করে নিয়ে যান। পাশেই ছিল নির্মাণ কর্মকর্তাদের বসার, শ্রমিকদের থাকার ও মালপত্র রাখার অস্থায়ী টিনের ছাউনির ঘর। ওই ঘরের ভেতর থাকা সিমেন্টের বস্তা, চেয়ার, টেবিল, লোহার রড ও লোহার অন্য কাঠামো লুটপাট করতে শুরু করেন কাউন্সিলরের কর্মীরা। এ সময় করপোরেশনের পোশাক পরিহিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটা সময় রিকশা ডেকে এনে ওই ঘর থেকে লুট করা সিমেন্টের বস্তাগুলো ওঠানো শুরু করেন তারা। এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মী। ভিডিও ধারণ করতে দেখে কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হাসমত আলী পাশ থেকে সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সিমেন্টের বস্তা লুটকারীদের একজন ফিরে এসে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। এই লোক এক সাংবাদিকের শার্টের কলার চেপে ধরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মাসুম আহমেদ বলেন, আমরা কোনো সিমেন্টের বস্তা, জানালার গ্রিল, চেয়ার-টেবিল, লোহার রড-কাঠামো কিছুতেই হাত দেইনি। শুধু মেয়র যেবড় সাইনবোর্ড ভাঙার নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছি।
সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী অভিযানে গিয়ে কোনো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে, উচ্ছেদ করা মালপত্র সাধারণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিষ্কার করে সরিয়ে নেন। পরবর্তীকালে এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এমএমআই/আরআইএস