ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করার প্রস্তুতি সরকারের বহু আগে থেকেই ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন করে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও জনগণের ভোট সুরক্ষিত হলো বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব ও একাদশ সংসদের ১৬তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা জানান। দুপরে এ আইনটি পাস হয়।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আজই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন পাসের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন আইনের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন, প্রধান কমিশনার ও কমিশনাররা নির্বাচিত হোক। আমরা পার্লামেন্টে এ আইন গঠনের বিল নিয়ে আসলাম। এ আইন করার দাবি আওয়ামী লীগেরও ছিল। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবা্ইকে ডেকেছিলেন তখনই তিনি বলেছিলেন, আমাদেরও প্রস্তাব ছিল। অনেক দিন থেকে মোটামুটি প্রস্তুত করে রেখেছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যখন ডায়লগ করতে গেলাম তখন তিনি বললেন, বিলটা তাড়াতাড়ি পাস করে দিলে ভালো হয। তিনি চান এ বিলের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন, প্রধান কমিশনার ও কমিশনাররা নির্বাচিত হোক। আমরা সেটি পার্লামেন্টে নিয়ে আসলাম। কিন্তু প্রস্তুতিতো আমাদের বহু আগে থেকে ছিল। আমাদেরও দাবি ছিল সব সময়। আমরাই করব এটা। অন্য কোনো দল করেনি। আওয়ামী লীগ করল। এ আইন করে জনগণের ভোট সুরক্ষিত হলো। নির্বাচনের আরেকটা ধাপ আমরা এগিয়ে গেলাম। গণতন্ত্রকে আরও আমরা শক্তিশালী করলাম। জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পার্লামেন্টে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিলটা পাস করতে পেরেছি। যার মধ্য দিয়ে আজকে আমাদের বিরোধী দল থেকেৃ যতগুলো সংশোধনী এনেছে এ বিলে অনেকগুলো নেওয়া হয়েছে। ২২টি সংশোধনী বিরোধী দলের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে জাতীয় পার্টির সংশোধনী, বিএনপির সংশোধনী, জাসদের সংশোধনী, ওয়ার্কার্স পার্টির সংশোধনী, গণফোরামের সংশোধনী আমরা গ্রহণ করেছি। তাতে এ বিল আর সরকারি বিল না এটা বিরোধী দলে তৈরি করা বিল হয়ে গেছে। একটা বিলে যদি ২২টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয় অধিকাংশ হয়ে গেল বিরোধী দলের। এটি সবার হয়ে গেল। জাতীয় পার্টির, বিএনপির, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম সবার। সবাই বক্তব্য দিয়েছেন। স্পিকার আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই এ বিলটি পাস করার জন্য। সংসদ সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাই বিলটি পাস করার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এসকে/আরবি