মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে এখনো বাড়েনি যানবাহনের চাপ। তবে নৌরুটে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে লঞ্চঘাট সূত্র।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাট এলাকা অনেকটাই যানবাহন শূন্য। ঘাটে থাকা ফেরিতে অনায়াসেই যানবাহন এসে উঠছে। ঘাটের টার্মিনাল এবং সড়কে তেমন কোনো যানবাহন নেই। তবে টার্মিনালে কিছু কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ সিরিয়ালে রয়েছে, যা ফেরিতে ধারাবাহিকভাবে পার হচ্ছে। ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাই বেশি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে সকাল ৮ থেকে ফেরি চলাচল শুরু করে। বন্ধ হয় বিকেল ৫ টার দিকে। রোরো ফেরি সুফিয়া কামালসহ মোট ৫ টি ফেরি চলে এই নৌরুটে। ঈদকে সামনে রেখে ফেরি সার্ভিস বাড়ানো হবে কিনা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নৌরুটে ১০ টি ফেরি চলতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বর্তমানে ঘাট এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ নেই। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো সহজেই ফেরিতে উঠতে পারছে। এছাড়া বিকেলের দিকে আসা যানবাহনগুলো বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি না পেলে মাঝিকান্দি নৌরুট দিয়ে পার হচ্ছে। এ কারণে যানবাহনের চাপ কিছুটা কমেছ।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ফেরি চলাচল অস্বাভাবিক থাকায় অনেকেই ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে এই রুটে পার না হয়ে বিকল্প উপায়ে পার হচ্ছেন। সাধারণ যাত্রীদের বেশির ভাগই পার হচ্ছেন লঞ্চে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় ফেরিতে গাড়ির চাপ কিছুটা কম রয়েছে। তবে সরকারি ছুটি হলে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের চেয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি রয়েছে। তাছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত কয়েকদিন ধরে লঞ্চে যাত্রীদের যাতায়াত কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজধানীতে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত লঞ্চ চলছে নৌরুটে। ঈদকে সামনে রেখে নৌরুটে ৮৭ টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকাগামী প্রাইভেটকার চালক মো.ইউসুফ বলেন, শুক্রবার ঢাকাগামী গাড়ির চাপ কম ঘাটে। সহজেই ফেরিতে ওঠা গেছে। মাঝেমধ্যে খুবই দুর্ভোগ হয় ঘাটে। ঈদের ছুটি যাত্রীচাপ নিয়ন্ত্রণে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো উচিত কর্তৃপক্ষের।
ফেরিতে পার হওয়া যাত্রী মো.সাইদুর রহমান বলেন, বাতাসের কারণে মাঝ পদ্মায় বেশ ঢেউ থাকে। বাচ্চাদের নিয়ে তাই ফেরিতে পার হচ্ছি। ফেরিতে তেমন ভিড় নেই।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, মাঝে মাঝে যানবাহনের চাপ বাড়ে আবার হঠাৎ করেই কমে যায়। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ-র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেশি রয়েছে। তবে ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিটি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। মাঝ পদ্মায় ঢেউ বেড়েছে। সতর্কতার সঙ্গে লঞ্চগুলো চলাচল করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
এসআইএস