ঢাকা: বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশে খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ইরির এশিয়ার প্রতিনিধি নাফিস মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে মাঠে ধানের অবস্থা ভালো। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার ফলে ইতোমধ্যে হাওরের ধান ঘরে তোলা গেছে।
তিনি বলেন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ চলছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইতোমধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নতমানের অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছেন। তারপরও আরও জাত দরকার। এ বিষয়ে আমরা ইরির সহযোগিতা চাই।
ইরির প্রতিনিধিদল এ সময় বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে জানতে চান ও রিলিজের অনুরোধ জানান। দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়টি বর্তমানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে গোল্ডেন রাইস রিলিজের বিষয়ে পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের আপত্তি রয়েছে।
ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া বলেন, লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল (স্ট্রেস টলারেন্ট) ধানের জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায় বাংলাদেশকে আরও বেশি করে সহযোগিতা করবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। এছাড়া ভারতের বারানসিতে অবস্থিত ইরি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিসে স্থাপিত বিশ্বমানের গবেষণাগারে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। একইসঙ্গে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ধান সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানান ইরির এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়া।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৯০৮, মে ১০, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস