সুনামগঞ্জ: বিগত তিন-চার দিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর নবীনগর পয়েন্টে ৭.৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঢলের পানিতে ভেসে গেছে হাওরের উঁচু এলাকার কিছু বোরো ফসল। পানিতে বাদামসহ নষ্ট হয়েছে মৌসুমি সবজি।
জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহীম, সদরগড়, সৈয়দপুর এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার তিন ইউনিয়নের বরকতনগর, শরীপুর গোজাইড়া, মহব্বাতপুর মামদপুর, মারফতি গ্রামসহ অনন্ত ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও ঘড়বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঢলের পানিতে তাহিরপুর ও সদর উপজেলার উচ্চ এলাকার ২০ হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে গেছে।
টানা বৃষ্টিতে রোদের দেখা না পাওয়ায় মাড়াইকৃত ধান নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। ভেজা ধান শুকাতে না পারায় ধানের চারা গজানোর কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাজারো কৃষক।
সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়া জানান, ঢলের পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানির কারণে চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেক ঘরে পানি উঠেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মুন্না মিয়া জানান, ঢলের পানি দোয়ারাবাজার উপজেলার কাংলা, নাইন্দা, গোজাউরা, সিংরাই হাওরের স্কিমের ধান তলিয়ে গেছে। পাহাড়ের সীমান্তবর্তী অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঢলের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো পুরোপুরি নিরুপণ হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পানি শিগগিরই নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলা ১০ হেক্টর ও সদর উপজেলার ১০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে বলে জানন তিনি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সুনামগঞ্জ ও মেঘালয়ে ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
আরএ