নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১০ জুন) ভোর চারটার দিকে পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিপুল ইসলাম সাদ্দাম কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেটের শ্রমিক ছিলেন।
নিহতের পরিবার জানায়, দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারীপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে লুবাইয়া আক্তারের সঙ্গে সাদ্দামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু সোমবার (৬ জুন) লুবাইয়া তার স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। খবর পেয়ে সাদ্দাম মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর-শাশুড়িসহ অন্যরা মিলে তাকে মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সাদ্দামের ভগ্নীপতি মাজেদুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, বড় আব্বা শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম বিয়ের পরে তার শ্বশুরকে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুবাড়ির সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়। মঙ্গলবার ঘটনার দিনে সাদ্দাম ফোনে জানান, শ্বশুর বাড়িতে তাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। পরে সেখানে গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তারপর যেতে দেয়।
এরপর সাদ্দামকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে সাদ্দামের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শ্বশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এফআর