আগরতলা (ত্রিপুরা): দীর্ঘ ১১ মাসের চেষ্টায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ অফিসের চালু হলো আগরতলায়। সোমবার (১১ জুলাই) রাজধানীর চিত্তরঞ্জন রোড এলাকায় দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং ফিতা কেটে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষ, সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব ও ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসর সভাপতি সুবল ভৌমিক প্রমুখ।
এসময় মলয় ঘটক বলেন, ত্রিপুরাতে যে সন্ত্রাস চলছে তার জন্য প্রদেশ অফিস খুলতে দেরি হয়েছে। এই অফিস থেকে আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাবে। দীর্ঘ ১১ মাস সংগঠনের কাজ চলতো তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমান সভাপতি সুবল ভৌমিকের বাড়ি থেকে, যেটি তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিস নামে পরিচিত ছিল।
সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব বলেন, বহুদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ অফিস খুলতে দেয়নি বর্তমান সরকার। বহু সংগ্রামের পর ও সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির চেষ্টায় প্রদেশের অফিস উদ্বোধন করা হলো আজ। এখন থেকে প্রদেশ অফিস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাজকর্ম চালিয়ে যাবে প্রদেশ নেতৃত্বরা। আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে যাবে এবং সংগঠন মজবুত করবে।
সায়নী ঘোষ বলেন, এই দিনটি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনে ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে মানুষের সমর্থন নিয়ে এখানে অফিসের সূচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপনির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আশাহত করেনি। কারণ সবাই জানেন এই লড়াই অনেক লম্বা এবং আগামী দিনে লড়াই জারি থাকবে। সবশেষে জয় তৃণমূল কংগ্রেসের হবে। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মধ্যে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করা বড়লোকদের আরও বড় করে তোলা এবং গরিবদের আরও গরীব করে রাখার দল নয়। সমাজের সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার দল হচ্ছে তৃণমূল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই, ২০২২
এসসিএন/এসএ