খুলনা: কুরবানির পশুর চামড়ার দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবার চামড়ার দাম বেশি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খুলনার আড়তদাররা।
বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে চামড়া বিক্রি করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে।
সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে খুলনার চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের চেয়ে চামড়ার দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এটা স্বস্তিদায়ক হলেও লবনের বাজারে হঠ্যাৎ অস্থির হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। ৪০০, ৫০০, ৭০০, ৮০০ টাকা করে যার কাছ থেকে যা পারছে তাই নিচ্ছে লবণ ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, গত বছর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০। এবার তা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। বিভিন্ন কারণে এক দশক ধরে চামড়া ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। এবার খুলনায় সর্বোচ্চ ১০-১৫ জন চামড়া কিনছে। আনুমানিক ১০ হাজারের বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় চামড়ার দাম কিছুটা বাড়ায় বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাড়তি দাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
খুলনার লবণচরা হাজী আব্দুল মালেক ছালেহিয়া দারুস সুন্নাত দাখিল মাদরাসা ও ইয়াতিমখানার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. শাফায়াতুল ইসলাম জানান, এ বছর তাদের প্রতিষ্ঠানে মোট ১০১টি গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ছোট সাইজের প্রতিটি ৩শ’ টাকা এবং বড় সাইজের চামড়া প্রতিটি সাড়ে ৫শ’ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, গত বছর মাত্র ২২৫ টাকা করে প্রতিটি চামড়া বিক্রি করতে হয়েছিল। আর ছোট গরু ও ছাগলের চামড়া মাটির নিচে চাপা দিতে হয়েছিল। সে তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ দামে চামড়া বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. আব্দুল খালিক বলেন, এবার তিনি সর্বনিম্ন সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চামড়া কিনেছেন। এর মধ্যে ছোট চামড়া সাড়ে ৩শ’, মাঝারি ৪শ’ থেকে ৮শ’ এবং বড় সাইজের প্রতিটি চামড়া কিনেছেন ৯শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। তবে তিনি কোন সাইজ কত টাকায় বিক্রি করতে পেরেছেন- সেটি বলতে রাজি হননি।
এদিকে কোরবানি পশুর চামড়া ভারতে পাচার রোধে খুলনাঞ্চলের বেনাপোল-শার্শা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
এমআরএম/এসএ