নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাতে পৃথক দুটি জায়গা থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক নারীর লাশ বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে ও অপর নারীর লাশ স্থানীয় কংশ নদীর বালুচর থেকে উদ্ধার হয়।
শুক্রবার সকালে একজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। কোনো অভিযোগ না থাকায় অপর নারীর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বন্দেরবাড়ি গ্রামে কংশ নদীর বালুর চরে কফিনের ভেতরে কাফনের কাপড় পরানো একটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ কফিনের ভেতর থেকে অর্ধগলিত মধ্যবয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি বন্যার সময় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে কফিনটি ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, উপজেলার চন্ডীগড় গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের নিচ থেকে আছিয়া খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি গ্রামের বন্দে আলীর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাগল খুঁজতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ওই নারী। পরে রাতে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের নিচে হাঁসের খামারের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খামারের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, বালুচড় থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি দাফন কাফন করা হতো বলে মনে হচ্ছে। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যাওয়া নারীর স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২২
এসআই