ঢাকা : করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদন কার্যক্রমে গতি নেই উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যতটুকু আশা করেছিলাম তা হয়নি। টিকা উৎপাদন করতে পারলে সরকার তাদের কাছ থেকে টিকা কিনত।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন। বুধবার (১৯ জুলাই) দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাশ মানুষকে করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচি উপলক্ষে কনফারেন্সটির আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে টিকা তৈরির ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। টিকা উৎপাদন হাইলি টেকনিক্যাল ও পেটেন্টেড। টিকার উৎপাদন প্রণালী চাইলেই কেউ দেবে না। টিকা বিশ্ববাসীর হওয়া উচিত, কিন্তু কেউ শুনছে না। অন্য দেশকে (টিকার উৎপাদন প্রণালী) দিচ্ছে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের সুনাম আছে। বেপরোয়া হলে সুনাম থাকবে না।
দেশের জনগণকে টিকার বুস্টার প্রয়োগে এখনও ৮ কোটি টিকা প্রয়োজন। কীভাবে তার প্রাপ্তি ঘটবে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্না থেকে অধিকাংশ টিকা পেয়েছি। এরা নতুন ৩ কোটি টিকা দেবে। তবে মজুদ টিকা প্রয়োগ করতে না পারলে নতুন পাওয়া অসম্ভব। কোভ্যাক্সের আওতায় বিনামূল্যে টিকা পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুলাই এক দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে বুস্টার (৩য়) ও দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদির পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলাসমূহের ওয়ার্ড পর্যায়েও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সুষ্ঠুভাবে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির ৪ মাস অতিবাহিত হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (৩য়) ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার নির্দিষ্ট সময় চলে যাওয়ার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তারাও টিকা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯০০ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই, ২০২২
এনবি/এমজে